জাতীয় চার নেতাকে হত্যার দিন ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণাসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
গতকাল রবিবার স্মারকলিপি জমা দিলে আজ তাকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস।
আজ সোমবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান সোহেল তাজ।
৩ দফা দাবি আপডেট পোস্টে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে আজকে সকালে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সাথে আমার বেশ কিচ্ছুক্ষণ কথা হয় I আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে তিনি পদক্ষেপ নিবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে I’
এর আগে রবিববার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৪টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে হাজির হন তাজউদ্দিন পুত্র সোহেল তাজ।
এদিন বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এসে দাবিসংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে যান। এ সময় সাকুরা রেস্টুরেন্টের উল্টো পাশে শতাধিক পুলিশকে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা ৩ দফা দাবিগুলো হলো:
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।