সোমবার, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা মহানগরের পিপি হলেন এহসানুল হক সমাজী

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি সদ্য অব্যাহতি পাওয়া পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার এ প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো. আব্দুল্লাহ আবুর নিয়োগাদেশ বাতিল করে তাকে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

বিগত ওয়ানইলেভেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও তিনি ২ বছর একই দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ পান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর এ দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আব্দুল্লাহ আবু আর আদালতেই আসেননি।

এহসানুল হক সমাজী একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) কোড, ইউএনডিপি- বাংলাদেশ এর সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরির জন্য জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।

সমাজি ২০০৭-২০০৯ মেয়াদে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ছাড়াও বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদে তিনি রাষ্ট্র/প্রসিকিউশনের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ফৌজদারি আদালতে সমস্ত মামলা পরিচালনা করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।

এহসানুল হক সমাজী কিছু চাঞ্চল্যকর মামলাসহ অসংখ্য ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেছেন। তিনি একজন ক্রিমিনাল প্র্যাকটিশনার হিসাবে অনুশীলন করতে উৎসাহিত বোধ করেন। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পার্ট-টাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রায়াল এবং অ্যাডভোকেসি দক্ষতা শেখান। বর্তমানে তিনি দায়রা আদালত/বিশেষ জজ আদালত/ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অনেক মামলায় সুনামের সঙ্গে লড়াই করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com