রায় জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই এলিস মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাবেক বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। সেটি এখনো মামলা হয়নি। যেহেতু থানায় ওসি নেই। ফলে সেটি পরে মামলা আকারে নেয়া হবে।
এর আগে প্রতারণা বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে সদ্য আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী এই আবেদন করেন।
আবেদনে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪৬৭, ৪৬৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। পরবর্তী সময়ে মামলা গ্রহণের মতো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন আদালত।
অপর দিকে এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে সরকারকেও। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ও আইন সচিবের কাছে নোটিশটি দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি বিচার বিভাগের সামনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অপ্রাসঙ্গিক ও অসাংবিধানিক কথা বলেন। তার অবসরের ১৬ মাস পর রায় প্রকাশ হয়। এই রায় বাংলাদেশে কুৎসিত সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।
খায়রুল হক দেশের সব অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার স্থপতি দাবি করে নোটিশে আরো বলা হয়, তিনি শুধু সংবিধানের বিধানই লঙ্ঘন করেননি, বরং সব ঘৃণার বিষবৃক্ষ, দুর্নীতি ও বর্বরতা রোপণ করেন। সব প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের মনোবল হ্রাস, বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও পক্ষপাতদুষ্টে পরিণত করেন।
এসব অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।