শনিবার, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

জহির উদ্দিন স্বপনকে নিয়ে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার কতিপয়ের কাঁদাছোড়াছুড়ি- এইচ এম জসিম উদ্দিন

এইচ এম জসিম উদ্দিনঃ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩
  • ৫৯ বার পঠিত

জাতীয়ভাবে সুপরিচিত নেতা শুধু জাতীয় ভাবে বললে ভুল হবে, আন্তজার্তিক নেতা জনাব জহির উদ্দিন স্বপনকে নিয়ে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার কতিপয়ের কাঁদাছোড়াছুড়ি ও তা নিয়ে কিছু তিক্ত-সত্য কথা:

দীর্ঘ ১০ বছর সাবেক এমপি জনাব জহির উদ্দিন স্বপন দলে নিস্ক্রিয় হয়ে ছিলেন, এ সময়ে তাঁর শূন্যতা গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় প্রতিদিন প্রমানিত হয়েছে। তার মানে নিঃসন্দেহে শূন্যতা পূরণের উপযুক্ত কেউ এখানে নেই। শূন্যতা পূরণের যোগ্য কেউ থাকলে সাবেক এমপি জনাব স্বপন জাতীয় রাজনীতিতে ফিরলেও কখনোই স্থানীয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তিত হতেন না। আর এজন্যই, দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সাবেক এমপির মেধা, দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দলের প্রতি তাঁর আনুগত্যতাকে বিবেচনায় নিয়ে এই অঞ্চলে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণে ২০১৮ সালে তাঁকে আবারও দলীয় মনোনয়ন প্রদান এবং সর্বোপরি দলে মেধাভিত্তিক ভূমিকা রাখার জন্য মিডিয়া সেলের মতো একটি আধুনিক ব্যতিক্রমধর্মী দলীয় অংগ তৈরী করে তার প্রধান দায়িত্ব দিয়েছে দল তাঁকে। আর এ দায়িত্বের সুফল অলরেডি দল ও দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ পাচ্ছে। তাই, তার রাজনৈতিক পরিচয়, দলের প্রতি আনুগত্যতা কিংবা কোনো বিষয়ে সমালোচনা করলে তা করতে পারে কেবল দলের সর্বোচ্চ ফোরাম। তবে, অন্য কোনো নেতা কিংবা আঞ্চলিক নেতা-কর্মী করলে তা হবে দলের সর্বোচ্চ ফোরামের বিরোধিতা করা, যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও সমালোচনা থাকবে, আর এটা হতে হবে সুস্থ ধারায় প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক বিষয়ে। তবে, কোনো ধরনের হটকারী ও আত্মঘাতী সমালোচনা অদূরদর্শিতা ও দলের স্বার্থের বিরোধীতা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং দুঃখজনকও বটে!

আবার, সবাইকে একসাথে সন্তুষ্ট করে চলা কোনো নেতার পক্ষে সম্ভব নয়। যে নেতা এটা দাবী করবে সে মূলত দুষ্টু ও ভণ্ড। তবে, সকলকেই পর্যায়ক্রমে সন্তুষ্ট করতে হবে। প্রতিটা নেতা-কর্মীর ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতা আছে। কেউ মাঠে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে, কেউ আনুগত্যতায় এগিয়ে, কেউ সম্পদে এগিয়ে, কেউ মেধায় এগিয়ে, কেউ সাহসিকতায় এগিয়ে, কেউ সৃজনশীল কর্মে এগিয়ে, কেউ সামাজিকভাবে সুনামে এগিয়ে, কেউ ত্যাগে এগিয়ে আবার কেউ বিগত পদ-পদবীতে এগিয়ে। কোন নেতা-কর্মী কমিটিতে কোন পদ পাবে এটা সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা আপেক্ষিক বিষয়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ জটিল সিদ্ধান্ত কমিটি গঠনকারী নেতাদের নিতে হয়। বরিশাল জেলা উত্তরের নেতারা জনাব জহির উদ্দিন স্বপনের মতো একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির নির্বাচনী এলাকায় কমিটি গঠন যথাযথ করবে না, এটা ভাবা রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা। তাই, কোনো না কোনো দিক বিবেচনায় এসকল কমিটিতে যারা কাঙ্খিত পদ না পেয়েছে তাদের কমিটি গঠনকারী নেতাদের চরিত্রহন না করে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ, রাজনীতি কোনো সাময়িক বিষয় না, এটা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালো থেকে আরও ভালো করার বিষয়। আবার, এটা হলো আর্ট অফ কম্প্রোমাইজ অর্থাৎ মানিয়ে নেওয়া ও মেনে নেওয়া। এতে একজন নেতার কোনো একসময়ে সফলতা আসবেই। এ এক কঠিন ধৈর্য ও কৌশলের পরীক্ষা। যে কঠিন পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সাবেক এমপি জনাব জহির উদ্দিন স্বপন প্রমাণ করেছেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী একজন খাঁটি মানুষ এবং মেধাবী ও সজ্জন রাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি আমাদের কাছে একটি রোল মডেল। আমাদের ভীষণ গর্বের জায়গা তিনি। তাঁর মতো একজন জাতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি সকলের বিশেষ করে আমাদের গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার জন্য আশীর্বাদের।

অনেকেই হয়তো জানে না, তিনি দলীয় দায়ীত্বের বাহিরে যখন ১০টি বছর ছিলেন তখন তাঁর ধানমণ্ডির বাসার দরজা সর্বদা খোলা থাকতো নেতা-কর্মীর জন্য। নিয়মিত তার নেতৃত্বে প্রকাশিত হত জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা। এছাড়াও, বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে তিনি নীরবে তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকায় ERT (Emergency Response Team)-এর মাধ্যমে গণমানুষের জন্য কাজ করেছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন(জেডআরএফ) এর নেটওয়ার্কে পরিচালিত ঐ তৎপরতা অনেকেরই অজানা। এটা কতোজন নেতার পক্ষে সম্ভব হয়েছে এ দেশের? এমনকি এখনও দলীয় কাজে শত ব্যস্ততার মাঝেও মুহূর্তেই তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া যায়। নেতা-কর্মীর যেকোনো সমস্যায় তিনি তাৎক্ষণিক রেসপন্স করেন। আর, এজন্যই এখনও তিনি গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা এবং আমাদের প্রিয় জাতীয় নেতা।

স্পষ্ট করে বলতে পারি, দলীয় সুসময় আসলে জাতীয়তাবাদী শক্তির কেউ নিরাশ হবে না। সকলেই তাঁর সুদৃষ্টি পাবে, এ মহান উদারতা তাঁর আছে। কারণ, তিনি আমাদের জন্য একটি ব্রান্ড। তাই, সকল বিএনপি প্রেমী ব্যক্তিকে অনুরোধ করবো কাঁদাছোড়াছুড়ি না করে দেশ ও দলের এ দুঃসময়ে সকলকে ধৈর্য ধরে একসাথে মিলে এ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সুসংহত হউন। তবে কেউ কেউ এ দলীয় স্বার্থে সুসংহত হবে না, এরা মূলত স্বার্থান্বেষী মহলের গোলাম মানে এজেন্ট, এদের চিহ্নিত করে রাখুন, সময়মত মুখোঁশ উন্মোচিত করা হবে।

দেশ ইনশাল্লাহ শীঘ্রই ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে আর এ লক্ষ্যে আমরা যার যা অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com