বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হৃদয় আশীষ। দলে এত রাজনীতিবিদ থাকতে তাকে রাষ্ট্রপতি বানানোকে অস্বাভাবিক মনে করেন তিনি। এ সংক্রান্ত কপি পোস্ট শেয়ার করে সমালোচনার মুখে তিনি পরে তা ডিলিট করে দেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই পোস্ট দেওয়া হলেও এ নিয়ে আজ এলাকায় আলোচনা শুরু হলে অনেকের নজরে আসে। তবে হৃদয় আশীষ দাবি করেন, তার আইডি হ্যাক করে ওই পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
ওই পোস্টে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হৃদয় আশীষ লিখেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো এত বড় রাজনৈতিক দলে রাষ্ট্রপতি দেওয়ার মতো বিশ্বস্ত নেতা নাই? নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান সদ্য সাবেক আমলা। রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাবেক বিচারপতি। খেলোয়াড়, শিল্পী, অভিনেতা আর ব্যবসায়ীতে ফিলাপ হয়ে যাচ্ছে সংসদীয় আসন। মাঠে পোড় খাওয়া, রাজনীতির জন্য জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করা মানুষগুলোর ভবিষ্যৎ গন্তব্য কি তাহলে? সুড়ঙ্গের যতোদূর নজরে আসে, হতাশার বেড়াজাল ততই আচ্ছন্ন করে। মাঠের কর্মী হিসাবে একরাশ জিজ্ঞাসা, আওয়ামী রাজনীতি এখন কোন পথে?’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কারও ব্যক্তিগত আক্রোশ বা কারও ব্যক্তিগত মতামত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী জেলা শাখা মেনে নেবে না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ রকম প্রোপাগান্ডা ছড়াবে এমন দুঃসাহস কারও নেই। আমি পোস্টদাতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে জিরো টলারেন্স।’