মেট্রোরেল যুগে প্রবেশের পর ঢাকায় এবার তৈরি হতে চলেছে দেশের প্রথম পাতালরেল। আগামী বৃহস্পতিবার ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায় পাতালরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় বেলা ১১টায় এর উদ্বোধন হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উড়ালপথে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত চলছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। এবার দ্বিতীয় মেট্রোরেল হবে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার, যা নির্মিত হবে মাটির নিচে। এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
প্রকল্প সূত্র জানায়, দ্বিতীয় মেট্রোরেল হবে উড়াল ও পাতাল পথের সমন্বয়ে। দুটি রুটে ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেল চলবে মাটির নিচ দিয়ে, যা প্রায় ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।
আর পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে নয়টি। এগুলো হলো- নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি নির্মাণ হলে দৈনিক আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ডিএমটিসিএলের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কোম্পানির এমডি এমএএন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় প্রধানমন্ত্রী এই কাজের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে রূপগঞ্জ জমতা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাজউকের কমার্শিয়াল প্লট মাঠে সভা হবে। রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮ দশমিক ৭১ একর ভূমিতে ডিপো হবে। এখানে ব্যয় হবে ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এই ডিপোর সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিতলগঞ্জে মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণ হবে। এর মধ্য দিয়ে পাতাল রেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এমআরটি-১ প্রকল্প দুটি অংশে বাস্তবায়িত হবে। একটি অংশ হবে পাতাল ও অপরটি হবে উড়াল। দুটি অংশের মূল ডিপো নির্মাণের কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বুধবার চুক্তি সই হয়েছে।’