পাকিস্তানকে পাত্তাই দিলো না নিউজিল্যান্ড। বাবর বাহিনীকে ব্যাটে-বলে কোণঠাসা করেই ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় পেল স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের দেয়া ১৩০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে নিয়েছে ২৩ বল হাতে রেখেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে।
এদিন পাকিস্তানের ওপেনাররা ব্যর্থ, যথারীতি মিডল অর্ডার বিধ্বস্ত; যেন এটাই অমোঘ নীতি চিরায়ত। বাবর-রিজওয়ান ফিরেছেন, পাকিস্তানের রানও যেন থেমে গেছে। তবে ইফতেখার আর আসিফ আলীতে মান বেঁচেছে। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রান সংগ্রহ করেছে ৭ উইকেট হারিয়ে।
এর আগে হ্যাগলি ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে উদ্বোধনীতে নেমে ৩০ রানে জুটি গড়েন বাবর। রিজওয়ান ফিরে যান ১৬ রানে, দশম ওভারে ফেরার আগে বাবর করেন ২৩ বলে ২১। দু’জনেই শিকার হন ব্রেসওয়েলের।
এর মাঝে ১১ রানেই পাকিস্তান হারায় ৩ উইকেট। শান মাসুদ ফিরে যান ১২ বলে ১৪ করে, শাদাব ফিরেন ৮ ব্যক্তিগত রানে, হায়দার আলি করেন ৮ রান। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়ে তুলেন আসিফ আলি ও ইফতেখার আহমেদ। ইফতেখার ২৭ বলে ২৭ করলেও আসিফ অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ২৫ রানে। পাকিস্তান থামে ১৩০ রানে।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে হেসে-খেলেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর বোলিং লাইনআপের বিপক্ষেও সাবলীলভাবে জয় ছিনিয়ে এনেছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ফিন এলেন ও ডেভন কনওয়ের ১১৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই যেন জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনে শুধু বন্দরে নোঙর ফেলা। ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড।
অর্ধশতক ছুঁয়েছেন ফিন এলেন। আগ্রাসী খেলতে থাকা ফিন এলেন শাদাব খানের শিকার হবার আগে ৬ ছক্কায় খেলে যান ৪২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। ডেভন কনওয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ৪৯* রানে। ৯ বলে ৯ করেছেন উইলিয়ামসন।
এই জয়ের ফলে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য। সিরিজে সমান দুটো করে জয় পেয়েছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বিপরীতে দুটো ম্যাচ খেলেও এখন পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে নিজেদের শেষ দুটো ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে রানরেটের দিকে।