আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে কোভিড-১৯ টিকাদান। পরীক্ষামূলক পর্বের পর পরিস্থিতি অনুসারে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের গণহারে টিকাদান অভিযান শুরু হবে।
গত রোববার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনা প্রতিরোধে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেশে আসে গত ৩০ জুলাই। ওই দিন বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ দুই হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেশে আসে।
এর আগে সরকার গত এপ্রিলে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা আনমানিক দুই কোটি ২০ লাখ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মনীষী চাকমার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে পাঁচটি নির্দেশনা সম্পর্কে জানানো হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো : বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জানাবেন ও দ্রুততার সাথে নিবন্ধনের অনুরোধ জানানোসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবেন। যেসব ৫-১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন (১৭ ডিজিট) নেই, তাদের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্ব-স্ব ক্লাস্টারের আওতাধীন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও তদারকির কার্যক্রম হাতে নেবেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা তার আওতাধীন উপজেলার শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি দৈনিকভিত্তিতে তদারকি করবেন। কোনো সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করবেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তত্ত্বাবধান করবেন ও তার আওতাধীন অধিক্ষেত্রে টিকা নিবন্ধন ও টিকাদান ব্যবস্থাপনা সুসম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন। পাশাপাশি সব ধরনের সহায়তা দেয়াসহ সার্বিক সমন্বয় কার্যক্রম হাতে নেবেন।