বুধবার, ১২:২২ অপরাহ্ন, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

৪৫ বছর ধরে কাবাগৃহে আজান দেন যিনি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৬৮ বার পঠিত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ,ঢাকা:

পবিত্র কাবাঘরের মুসল্লিদের দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সুমধুর সুরে আজান শুনিয়ে মুগ্ধ রাখছেন শায়খ আলী আহমদ মোল্লা। গত অর্ধ-শতাব্দিকাল ধরে হাজিদের কাছে তাঁর আজানের সুর খুবই পরিচিত। তিনিই পবিত্র মসজিদুল হারামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও প্রবীণ মুয়াজ্জিনদের একজন।

দীর্ঘকাল আজান দেওয়ায় অনেকে তাঁকে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বিলাল (রা.)-এর নামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘বিলাল আল-হারাম’ বা হারাম শরিফের বিলাল উপাধি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ‘শায়খুল মুয়াজ্জিনিন’ প্রধান মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চাচাতো ভাই শায়খ আবদুল মালিক মোল্লার মৃত্যুর পর তিনি মসজিদুল হারামের প্রধান মুয়াজ্জিন নিযুক্ত হন।

শায়খ আলী আহমদ মোল্লা ১৯৪৫ সালে মক্কা নগরীর প্রসিদ্ধ সুক আল-লাইল এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পবিত্র মসজিদুল হারামে আজান দেওয়াই তার পূর্বপুরুষদের অন্যতম ঐতিহ্য। তাঁর দাদা, বাবা, চাচা, ভাইসহ বংশের অনেকেই এই দায়িত্ব পালন করেন।

শায়খ আলী মোল্লা শৈশবে মসজিদুল হারামে শায়খ আশুরের কাছে প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করেন। এরপর মাসআয় অবস্থিত রহমানিয়া মাদরাসায় পড়েন। ১৯৭১ সালে রিয়াদের ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ পান। মসজিদে আজান দেওয়ার পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসাও দেখাশোনা করেন।

প্রথম আজান : ১৩৯৫ হিজরিতে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি বাব আল জিয়াদায় ফজরের প্রথম আজান দেন। তখন মাইক্রফোনের ব্যবহার ছিল না। তাই আশপাশের কিছু লোক তা শুনতে পেত। এরপর তিনি বাব আল মাহাকামার মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হোন। পরবর্তী সময়ে তিনি পুরো মসজিদুল হারামে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শায়খ আলী মোল্লা মসজিদুল হারামে লাউডস্পিকার ব্যবহার শুরুর আগে থেকে আজান দেওয়া শুরু করেন। তখন মসজিদুল হারামের সাতটি মিনার থেকে মুয়াজ্জিনদের আজান দেওয়া শুরু হতো। জমজম কূপের পার্শ্ববর্তী ‘আল মাকাম আল শাফেয়ি’ থেকে প্রধান মুয়াজ্জিন আজান শুরু করতেন। অন্যরা তা পুনরাবৃত্তি করতেন। উসমানি শাসনামলে আজানের এই ঐতিহ্য শুরু হয়। বর্তমান তুরস্কে এখনো এ নিয়ম প্রচলিত আছে।

সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত : শায়খ আলী মোল্লা বলেছেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুসংবাদ ছিল যেদিন আমার বাবা জানালেন যে আমি একদিন মসজিদুল হারামের মুয়াজ্জিন হবো। বিলাল আল-হারাম উপাধি পেয়ে আমি খুবই অভিভূত। সৌদির সহায়তায় নির্মিত মসজিদ উদ্বোধনে ব্রিটেনে গেলে সেখানকার মুসলিমরা আমাকে এই উপাধি দেয়। সংবাদপত্রে তা প্রচারিত হলে এই উপাধি সবার মধ্যে পরিচিতি লাভ করে।

১৯৭৯ সালে মসজিদুল হারাম অবরোধকালে ২৩ দিন ধরে আজান বন্ধ ছিল। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর তিনিই প্রথম মাগরিবের আজান দেন। ওই সময় বাদশাহ খালেদ মসজিদে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : আল-অ্যারাবিয়াহ

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com