মানিকগঞ্জের রুবেল হত্যার ঘটনায় ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুবেল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: মাসুদ রানাকে কেস ডায়েরিসহ ৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মো: বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, ‘মরদেহ রাত দেড়টায় উদ্ধারের পর সুরতহাল করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এরপর মামলা দায়ের, আসামি গ্রেপ্তার, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানচিত্র তৈরি, সাক্ষ্য গ্রহণসহ একে একে অন্তত ৯টি ধাপ পেরিয়ে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয় মাত্র ২২ ঘণ্টায়। পরবর্তী ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ তদন্তের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এমন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক নয়। সাধারণত একটি হত্যা মামলায় কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগে। ক্ষেত্র বিশেষে বছরও পার হয়ে যায় হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে।’
একটি খুনের মামলার তদন্তে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়। দুই দিনের কম সময়ে খুনের মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেয়ার ঘটনায় অনেকে প্রশংসা করলেও প্রশ্ন তুলেছেন আইন ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে রকেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে। এটা ব্যতিক্রমী ও আশ্চর্যজনক ঘটনা। পুলিশের এমন তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাও।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো: রুবেল। পরদিন সোহেল নামে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।