দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে পিরোজপুরের কালিগঙ্গা সেতুর নির্মাণ কাজ। দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে এলাকাবাসী।
জেলার নেসারাবাদ, কাউখালী ও সদর উপজেলাকে সংযুক্ত করতে কালিগঙ্গা নদীর কলাখালী-চাঁদকাঠী পয়েন্টে শুরু হয়েছিল একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ। ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ২০১৮ সালে এ নদীর ওপর ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে দায়িত্ব দেয় এলজিইডি।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও মাত্র ৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে গেল ২০২২ এর সেপ্টেম্বরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের চুক্তি বাতিল করে। ওই বছরের ডিসেম্বরে পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করেন তারা। নতুন উদ্যমে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করায় নতুন আশায় বুক বাঁধে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, আগের কোম্পানি চলে যাওয়ার পরে নতুন কোম্পানি এসেছে। তারা খুব সুন্দরভাবে কাজ করছে। আমরা আশা রাখি, খুব দ্রুত ব্রিজের কাজটা শেষ করতে পারবে। আমাদের যে দুর্ভোগ সেটা লাঘব হবে। এই ব্রিজটা হলে পিরোজপুর জেলার সঙ্গে দুটি উপজেলার মানুষের যাতায়াতের পথ সহজ হবে। ব্রিজটি হলে স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা উপজেলা থেকে জেলা সদরে গিয়ে ভালো করে লেখাপড়া করতে পারবে। দীর্ঘ সময় ধরে খেয়াঘাটে অপেক্ষা করতে হবে না।
পিরোজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবদুস সাত্তার হাওলাদার বলেন, কলাখালী ব্রিজের কার্যক্রম ৬ মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে। প্রথমেই কলাখালী ব্রিজের দুই পাশের এক কিলোমিটার অ্যাপ্রস রোডের কাজ চলছে। এবং মূল ব্রিজের ২৫টি পাইলের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি এক বছরের ভেতরে মূল স্ট্রাকচার দাঁড় করাতে পারব। এটি বরিশাল স্বরূপকাঠি পিরোজপুরের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারবে। ব্রিজটি হলে এলাকার হাজারো মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে।
বর্তমানে প্রতিদিন ৩ উপজেলার ১৫ হাজার মানুষ ও প্রায় ১ হাজার মোটর সাইকেল এ পথে যাতায়াত করে। এ ব্রিজটি নির্মিত হলে বিকল্প পথে বরিশালের সঙ্গে পিরোজপুরের প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে।