সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন- এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব। আজ বুধবার সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়হাম মৃত্যুর ঘটনায় শিশুটির বাবা মামলা করেছেন। এতে ডা. এস এম মুক্তাদিরসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে ছেলে আহনাফ তাহমিনকে সুন্নতে খতনা করতে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদিরের নেতৃত্বে তাহমিনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান ডা. মাহাবুব ও ডা. ইশতিয়াক আজাদ। নিষেধ করা সত্ত্বেও তাহমিনকে পুরো অজ্ঞান করা হয়। আর এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদির বলেন, ছেলেটির ওজন বেশি ছিল। বয়স ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। ফুসফুসে সমস্যা ছিল। কিন্তু সব তথ্য পরিবার জানায়নি। শিশুটির রোগ সম্পর্কে স্বজনরা না জানানোর কারণে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ান মারা যায়। এর আগে টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।