গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা। হাসি ফুটবে ২৭৭টি পরিবারের মুখে। বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন ৪র্থ পর্যায়ের ২৭৭টি ঘর। এরমধ্য দিয়ে বাকেরগঞ্জ হবে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা। উপজেলার গৃহহীনরা রয়েছেন সেই আনন্দঘন দিনের অপেক্ষায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘আশ্রয়ণের অধিকার. শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তালিকা অনুযায়ী বরিশালের বাকেরগঞ্জে ‘ক শ্রেণি’ভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৪৩টি পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
এরইমধ্যে ১ম পর্যায়ে ১২০টি, ২য় পর্যায়ে ৫০টি ও ৩য় পর্যায়ে ৯৬টি গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে আরও ২৭৭টি ঘর আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। সেদিনই ক শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে বাকেরগঞ্জ উপজেলা।
দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না— প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলায় দুই শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত করে প্রান্তিক গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমবায়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চলছে রেজিস্ট্রেশনের কাজ।
আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশনা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল জানান, জাতির পিতা স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলার প্রতিটি মানুষ খুঁজে পাবে নিরাপদ আশ্রয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন সেই নিরাপদ আশ্রয়ের চূড়ান্ত রূপ। সারা দেশের মতো বাকেরগঞ্জে আশ্রয়ণের ঘর পাবে ২৭৭টি পরিবার। তাদের দুই শতাংশ জমির মালিকানা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ওইদিন বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর মমতামাখা এ প্রকল্প আজ হাসি ফোটাচ্ছে লাখো মানুষের মুখে।
এরআগে পুনর্বাসিত ২৬৬টি পরিবারের সঙ্গে কথোপকথনে জানা যায়, ঘর পাওয়ার আগে তারা অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করতেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্যে নতুন ঘরের ব্যবস্থা করেছেন, শিখিয়েছেন নতুন করে বাঁচতে। অনেকেই ঘরের আঙিনায় শাকসবজির চাষাবাদ করছেন। কেউ কেউ হাঁস-মুরগি প্রতিপালনে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব মানুষের মুখে হাসিই জানান দেয় তারা ভালো আছেন; কষ্টের দিনগুলো পার করে এসেছেন।