শনিবার, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

২০২৫ সালে রওনা দেওয়া বিমানটি পৌঁছাচ্ছে ২০২৪ সালে

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

নতুন বছর ২০২৫ সালের পয়লা দিন আজ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে নববর্ষ উদ্‌যাপিত হচ্ছে। কিন্তু এখনও অনেক অঞ্চলে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের রাত। সিএনএনের এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের ৩৯টি ভিন্ন সময় অঞ্চলজুড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ২৬ ঘণ্টা সময় লাগে। তাই তো বিশ্বব্যাপী পুরোদমে ২০২৫ সাল গণনায় আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এ সময়ের মধ্যে কোনো অঞ্চল নববর্ষের আনন্দে মাতলেও পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পুরোনো বছর শেষের ক্ষণ গণনা চলছে। এ মারপ্যাঁচেই গ্রিনিচ মান সময়ে এগিয়ে থাকা হংকংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে নববর্ষ এলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ সম অঞ্চলের রাতটি তখনও ২০২৪ সালের।

ফ্লাইট রাডার-২৪ ডটকমের তথ্য বলছে, সময়ের এ তারতম্যের কারণে নববর্ষ শুরু হওয়া দেশ থেকে কোনো ফ্লাইট রওনা করলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগোত্রীয় দেশে পৌঁছাচ্ছে ২০২৪ সালে। যেমন, নববর্ষের প্রথম প্রহরে হংকং থেকে রওনা দেওয়া একটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে পৌঁছাচ্ছে পুরোনো বছর ২০২৪ সালেই।

২০২৫ সাল থেকে ২০২৪ সালে যাওয়া। হংকং থেকে যে বিমান উড্ডয়ন করেছে ২০২৫ সালে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে অবতরণ করবে ২০২৪ সালে। যেখানকার বাসিন্দারা তখনও নববর্ষ উদ্‌যাপনের অপেক্ষায় সময় গুনছে।

তথ্য বলছে, ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি বিমান হংকং থেকে ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারি রাত ১২টা ৩৮ মিনিটে যাত্রা করে। গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের দিকে সেটি উড়ে যাচ্ছে। সেখানে পৌঁছানোর সময় নির্ধারিত ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৫৫ মিনিট। আর সেটি এখন যে গাতিতে চলছে তাতে আনুমানিক গত বছরের রাত ৮টা ১৩ মিনিটে পৌঁছাতে পারে।

এমনটি শুনতে বেশ আশ্চর্যজনক মনে হলেও বিষয়টি খুবই সাধারণ। পৃথিবীতে সূর্যের দেখা পাওয়ার তারতম্যই এ পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশ ২০২৫ সালের পয়লা জানুয়ারির সকাল ৯টা ৩৮ মিনিট পার করছিল। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের স্থানীয় সময় ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের রাত ৭টা ৩৮ মিনিট।

তেমনি বিশ্বে সবার আগে নতুন বছর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কিরিবাতি। নববর্ষ উদযাপনকারী প্রথম এই দেশটির বৃহত্তম ক্রিসমাস দ্বীপ সবার আগে নতুন বছরে পদার্পণ করেছে। এরপরই দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নতুন বছরকে আতশবাজির ঝলকানিতে বরণ করে নিয়েছে ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ নিউজিল্যান্ড। আর শেষ অঞ্চল হিসেবে হাওয়াই, আমেরিকান সামোয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক দ্বীপে নববর্ষ উদ্‌যাপিত হবে।

সময়ের ভিন্নতা থাকায় বিশ্বের সব দেশে একসঙ্গে নতুন বছর শুরু হয় না। কোনো জায়গায় সবার আগে এবং কোনো জায়গায় সবার পরে নতুন বছর শুরু হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com