ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুথিদের কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বেসামরিক নাগরিক ও কর্মীদের নিরাপত্তা, আমাদের নিকটতম আঞ্চলিক অংশীদারদের নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুথিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজগুলোতে ১০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে। তারা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, হুথিরা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে। একটি জাহাজ আটক করেছে এবং কমপক্ষে চারজন নাবিককে হত্যা করেছে। এই হামলার ফলে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন অধীনে মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘বাণিজ্যিক জাহাজগুলো রক্ষার জন্য’ হুথির হামলা রোধ করার চেষ্টা করেছে। হুথিদের বিভিন্ন স্থাপনায় পর্যায়ক্রমে হামলা চালিয়েছিল। তবে তারা দলটির নেতৃত্বকে টার্গেট করেনি।
২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শুরুতে বাইডেন ইয়েমেনের অভ্যন্তরে মানবিক উদ্বেগ মোকাবেলায় ট্রাম্পের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা বাদ দিয়েছিলেন। লোহিত সাগরে হামলার মুখোমুখি হয়ে বাইডেন গত বছর এই গোষ্ঠীটিকে ‘বিশেষভাবে মনোনীত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তার প্রশাসন কঠোর এফটিও তকমা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।
ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলেছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেবে। খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির গুরুত্বপূর্ণ আমদানি ব্যাহত হবে।
অক্সফাম আমেরিকার শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক স্কট পল এক বিবৃতিতে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এসব পরিণতি সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু যে করেই হোক সামনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে যে ক্ষুধার সমস্যা ও রোগ আসবে, তার দায় তাকেই বহন করতে হবে।