সোমবার, ০৮:১৬ অপরাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
শেখ মুজিব পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার জন্য দেন দরবার করেছেন তিনি আমাদের স্বাধীনতা চান নাই-এম. জহির উদ্দিন স্বপন উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হলেন ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ চাঁদনী বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন সাবেক এমপি পোটন ৩ দিনের রিমান্ডে বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার করে যাব : আসিফ নজরুল নতুন মামলায় সালমান-ইনু-আনিসুলসহ গ্রেফতার ৮ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত ৩ মাসের মধ্যে শেষ হবে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে দেশে ৩০ হাজার বিদেশি, অধিকাংশই ভারত-চীনের ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

‘হাসিনাকে কেন ভারতে ঠাঁই দেয়া হলো?’ শাহকে আক্রমণ হেমন্তের

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৪ বার পঠিত

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টেনেছিলেন প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গকেও। এবার শাহের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান (জেএমএম) তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন উল্লেখ করলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ। তার প্রশ্ন, ‘কেন হাসিনাকে ভারতে ঠাঁই দেয়া হলো?’

গাড়োয়া বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে শাহ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে একযোগে আক্রমণ করেছেন হেমন্ত। একই সাথে হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতারা। হেমন্তের কথায়, ‘মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার সময় সংবিধানের সামনে মাথা নত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। সমাজের সব অংশ সমান অধিকার পাবে। আমি তাকে (মোদি) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সাথে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?’

ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাদের দেশ থেকে বিতারিত করার জন্য কঠোর আইন আনবে। শাহকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হেমন্ত বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তার প্রশ্ন, ‘সীমান্ত পাহারা দেয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই।’

সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ। গণনা ২৩ নভেম্বর। আসন্ন নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের শরিকেরা। জেএমএমের সাথে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের আসনরফা চূড়ান্ত হয়েছে। জেএমএম লড়বে ৪৩, কংগ্রেস ৩০ আসনে। এছাড়াও আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন লড়বে যথাক্রমে ৬ এবং ৪ আসনে। তবে ছতরপুর, বিশ্রামপুর এবং ধানওয়ার- এ তিনটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জোট।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com