করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে ভারতে। সংক্রমণ রোধে বেনাপোল বন্দরে বাড়তি সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়ার পর চার দিন অতিবাহিত হলেও বেনাপোল স্থলবন্দরে চোখে পড়েনি কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া মাস্ক, পিপি ছাড়াও ভারতীয় ট্রাকচালকরা অবাধে ঢুকছে বন্দরে। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা কমে আসায় স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সুরক্ষাব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে এখানে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কর্তৃপক্ষের এখনো কোনো পদক্ষেপ না থাকায় ঝুঁকি বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণের। গত তিন মাস আগেও বেনাপোল বন্দরে করোনা সংক্রমণ রোধে জোরদার ছিল সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে মাঝে সংক্রমণ কমে আসায় সুরক্ষা ব্যবস্থা গুটিয়ে ফেলে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা জানান, ওমিক্রন ঝুঁকিতে রয়েছে বেনাপোল বন্দর। তবে কোনো ধরনের সতর্কতা ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। গত বছর করোনা শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ও পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকায় বাণিজ্য ও ভ্রমণ খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছিল। তাই ক্ষতি এড়াতে আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নিতে হবে।