কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাওহীদা ইসলাম ইলমা নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদ আলী বাপ্পী (২৩) নামের এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাপ্পি জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. জাকারিয়ার ছেলে।
আদালত ও মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইলমা নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যার দিকে আসামি বাপ্পি নিজেই এলাকায় ওই ছাত্রীর সন্ধান চেয়ে মাইকিং করেন। রাতে বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কিন্তু কোনো তথ্য না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেন। পরের দিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ডাকাতিয়া নদী থেকে ইলমার মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ বাপ্পিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন বাপ্পী জানান, ইলমাকে তেঁতুল খাওয়ানো কথা বলে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেন তিনি। এ ঘটনায় ইলমার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইকবাল মনির একই বছরের ২ জুন আসামি বাপ্পী ও একই গ্রামের মিজানুর রহমানের (২২) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত বলেন, মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, বাপ্পির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর আসামি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. আতিকুল ইসলাম (আতিক) বলেন, ‘এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শিগগিরি উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।