সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) ‘এখন এক বিপদের কারবার’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।আজ বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন এক বিপদের কারবার। ঘরের ভেতরের বিষয়গুলো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কিছু বললে আবার রাইট টু ফ্রিডম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’
এদিন আদালতে বিএনপির নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে আদালত আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির ৭ শীর্ষ আইনজীবীর বিষয়ে আদেশের দিন পিছিয়ে দুই সপ্তাহ পর নির্ধারণ করেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপির ৭ আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। এদিন তারা আদালতে হাজির হন।
গত বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুই বিচারকের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুই বিচারককে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতেও ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ জানান অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।