সদ্য অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে কয়েক জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন আইনজীবী যুথীর স্বামী ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
আজ শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী যুবলীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড সংগঠন। জননেত্রী শেখ হাসিনার বাইরে এই সংগঠনের কোনো অবস্থান নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ব্যাপারে বিভ্রান্তিরও কোনো সুযোগ নাই। একটি সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যেই যুবলীগের আইনজীবীরা সমবেত হয়ে গত ৬ এবং ৭ মার্চ উৎসবমুখর পরিবেশে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে ভোট দিয়েছে।’
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘গত ৮ মার্চ উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কোনোভাবেই সমর্থন করে না। বিচ্ছিন্নভাবে সংগঠনের কেউ যদি উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তার নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। একইসঙ্গে সার্বিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির অবতারণার হওয়ার জন্য আমরা সবাই দুঃখ প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে মানবিক যুবসমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
এদিকে, আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় যুথী ছাড়াও বিএনপি প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
রুহুল কুদ্দুস কাজল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। আর আইনজীবী যুথী এ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন।