সোমবার, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

সীমান্তবাসীর নতুন আতঙ্ক মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯২ বার পঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ও ঘুমধুম সীমান্তে নতুন করে স্থলমাইন বসিয়েছে মিয়ানমার। গত ১৫ দিন ধরে সীমান্তের ৩৫ পিলার থেকে ৫২ নম্বর পিলার পর্যন্ত দীর্ঘ ৬২ কিলোমিটার এলাকায় এ মাইন বসায় তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তের ৪৬ নম্বর পিলার সন্নিকটে গত সোমবার বিকেলে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়। এতে এক গরু ব্যবসায়ী আহত হন। তার নাম মো: সোনালী (৫৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা বাজার এলাকার মৃত কাদির হোসেনের ছেলে। তাকে কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষাবধি ডাক্তাররা তাকে চট্টগ্রাম রেফার করেন। বর্তমানে তার বাম পায়ের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এ অবস্থায় সীমান্তে বসবাসকারীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
আহত মোহাম্মদ সোনালী বলেন, তারা তিন কাঠুরিয়া সেখানে কাঠ কাটতে যান। তিনি আহত হলেও বাকিরা সুস্থ আছে। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন তিনি গরু ব্যবসায়ী। তারা তিনজন সীমান্তে গরু আনতে যান। অপর বিস্ফোরণের ঘটনা ৪৫ নম্বর পিলার এলাকায় ঘটে গত ৪ নভেম্বর।

সেদিন সকালে মো: আলম ও জাহাঙ্গীর নামে দুই কাঠুরিয়া পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে যান। এর পরে মো: আলম আর ফিরে আসেনি। মোহাম্মদ আলম জামছড়ি গ্রামের মিয়া হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় মেম্বার ছাবের আহমদ জানান, জাহাঙ্গীর আলম আর মোহাম্মদ আলম বনে যান সে দিন। ঘটনার দিন দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম বাড়ি ফিরে এলেও মো: আলম আর ফিরে আসেনি। লোকজন ধারণা করছেন তিনি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মারা গেছেন। সে সেখানেই পড়ে আছে। মো: আলমের স্ত্রী নূর বাহার তাকে বলেছেন, তার স্বামী তখন থেকে নিখোঁজ। মারা গেছে কিনা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। তবে বিষয়টি তারা নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সীমান্তের একাধিক বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তজুড়ে স্থলমাইন বসিয়ে চলেছে। তারা আরকান আর্মি ও আরএসইউকে ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আইনলঙ্ঘন করে এ স্থলমাইন বসিয়েছে। সীমান্তে গরু ব্যবসায়ীরা জিরো পয়েন্টে গেলেই মাইন বিস্ফোরণে হতাহত হন। গত সোমবার বিকেলে মাইন বিস্ফোরণে আহত মো: সোনালী তাদেরই একজন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত সোনালী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। নিখোঁজ মো: আলমের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেন, মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। নিখোঁজ মো: আলমের বিষয়ে খবর নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com