চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার জোড়বটতল রহমতেরপাড়া গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে পুড়িয়ে হত্যা এবং বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ধুন্ধর গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাদ্বয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি প্রদান করেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারন সম্পাদক মালেকা বানু ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে , ”পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের জোড়বটতল রহমতেরপাড়া গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ঘটনার শিকার গৃহবধূর এক বছর আগে আনোয়ার হোসেন কিবরিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আনোয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নানা অজুহাতে নির্যাতন করে আসছিল। গত ২৪ মে বুধবার স্বামীর ঘর থেকে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূর লাশ খাটের ওপরে রেখে পোড়ানো হয়েছে।
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ধুন্ধর গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৩ মে মঙ্গলবার ঐ স্কুলছাত্রী ঝড়ের আম কুড়ানোর পর বাড়ি ফিরছিল। এ সময় একই গ্রামের তিন যুবক সৌরভ হোসেন, বাদল হোসেন, বায়োজিদ হোসেন তাকে পুকুর পাড়ে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে পুড়িয়ে হত্যার নজিরবিহীন, লোমহর্ষক ঘটনা এবং চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীক দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাদ্বয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনাদ্বয়ের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। ঘটনার শিকার ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি করছে। এ ধরণের নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সাথে এ ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছে।