সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি বিলুপ্তির পর এবার শোকজ পেলেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলকে বিজয়ী করার জন্য সিলেট মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদাসীন এবং নির্বিকার ভূমিকার জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের বিপর্যয় ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে এমন দায়িত্বহীনতার কারণে কেন মহানগর বিএনপির এই দুই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে শোকজপ্রাপ্ত মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, সংগঠন শোকজ করেছে। আমরা যথারীতি এর জবাব দেবো। আশা করি আমাদের জবাব পেলে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৬টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১১টিতে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা জয় পান। এছাড়া বিএনপিপন্থী ছয়জন ও জামায়াতপন্থী পাঁচজন জয় পেয়েছেন। বাকিদের মধ্যে একজন জাসদপন্থী এবং দুজনের দলীয় পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি পদেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অংশ নেন। তবে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন না। অনেকেই দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে আওয়ামী লীগপন্থী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেন। তাদের জেতাতে বিএনপি ঘরানার ভোটাররাও সক্রিয় ছিলেন। এ অবস্থায় বিএনপিপন্থী বেশিরভাগ আইনজীবী নির্বাচনে পরাজিত হন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে বিএনপির অভ্যন্তরেও।