প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের মুখে ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন’ এমন কথা শুনে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বললেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীম।
সোমবার (১২ জুন) রাতে বরিশালে হাতপাখার প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসির এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ফয়জুল করীম বলেন, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ, আমি ইন্তেকাল করলে হয়তো ইসির কানে পানি যেতো। আমি রক্তাক্ত ও জখম হয়েছি, এতে ইসির আশা পূরণ হয়নি। হয়তো ইন্তেকাল করলে তার আশা পূরণ হতো।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তার ওপর কীভাবে কারা হামলা করেছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন ফয়জুল করীম। এর আগে তার বড় ভাই চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল ও খুলনার ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান এবং রাজশাহী ও সিলেটের ভোট বর্জন করেন। একইসঙ্গে আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেন।
একই দিন বিকেলে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীর রক্তাক্ত হওয়াটা ‘আপেক্ষিক’ বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় তিনি বলেছেন, ‘উনি (প্রার্থী) কি ইন্তেকাল করেছেন? না, উনি কি কতটা। আমরা যেটা দেখেছি, ওনার কিন্তু রক্তক্ষরণটা দেখিনি। যতটা শুনেছি, ওনাকে কেউ পেছন দিক থেকে ঘুষি মেরেছে। ওনার বক্তব্যও শুনেছি, উনিও বলেছেন, ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে।’
সিইসি বলেন, আক্রমণের ঘটনার বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ভোট বাধাগ্রস্ত হয়নি। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দু-চারটি ঘটনা ছাড়া সার্বিক অর্থে সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাচন হয়েছে। কমিশন সন্তুষ্ট।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।