সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর ও সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ রবিবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে তাদের হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো ও রিমান্ড আবেদন করা হয়।
অ্যাডভোকেট মোরশেদ হোসেন শাহীন আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতের জিআর শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ও বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক শুনানি শেষে সকল আসামির গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং মানুনের ৪ দিনের এবং মানিকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার ও রিমান্ড হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় নুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর নিউমার্কেট থানার আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় অপর আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হয় মামুন ও মানিকের।
গত ৫ জুলাই এর পর সরকারী চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা আরোপ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে সারাদেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ১৪ জুলাই আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ‘ব্যাঙ্গাত্মক রাজাকার’ সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেয়। বিগত ১৯ জুলাইবিকাল ৫ ঘটিকার সময় নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত মোড়ের পশ্চিম পাশে নিউমার্কেট ১নং গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হত্যার উদ্দেশ্যে নিরাপরাধ মানুষের উপর দেশিয় ও বিদেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ শত শত সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও গুলিবর্ষণের কারণে ঘটনাস্থলে মাহফুজুর রহমান, নাসির উদ্দিন শামীম উসমান, মোঃ আবু মূসা, মাঈনুদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, আবির হোসেনসহ অনেক নিরস্ত্র ছাত্র জনতা ও সাধারণ পথচারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বাদীর ভগ্নিপতি আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথার পেছনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।