জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে চাষে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে কৃষি বিষয়ক সংগঠন ‘কৃষকের বাতিঘর’। একইসঙ্গে কৃষকসহ দেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ সাগর এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকদিন আগেই সারের দাম বেড়েছে। এবার জ্বালানি তেলের দাম একলাফে প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে। এর বড় প্রভাব পড়বে কৃষি খাতে। এই খাতে ডিজেলের চাহিদা মোট ডিজেল আমদানির প্রায় ১৮ শতাংশ। দেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধানসহ অন্য ফসল ও সবজি আবাদে ডিজেলের চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে চাষে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক।
এছাড়া পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ায় পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে। পরিবহন সেক্টরে অস্থিরতা দেখা দেবে। কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যহত হবে, ফলে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। বাজারে এখন চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবানসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। গত মে মাসের পর ডলারের দাম ৮৬ থেকে ১০৮ টাকায় উঠে যাওয়ায় আমদানি করা সব পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন অবস্থায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে আরও বড় সংকটে ফেলবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে কৃষিতে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। যা কাজে লাগাতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির অবদান আরও বাড়বে। কর্মসংস্থান বাড়বে এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতায় প্রভাব পড়বে। এসব কারণেই কৃষিকে অগ্রাধিকারে রাখতে হবে। কৃষি উৎপাদন আরও বাড়তে হবে।
এজন্য উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ, পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারণ করতে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয় কৃষকদের পক্ষ থেকে।