রাজশাহীর পুঠিয়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার চাচা আলিউজ্জামান মুন্টু ওরফে মুন্টু মাস্টারকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে এ ঘটনার সময় রড দিয়ে পিটিয়ে মুন্টুর হাত-পা থেতলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়।
আলিউজ্জামান মুন্টু উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বাড়ি বিড়ালদহ গ্রামে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিল। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফেরে আসেন। তবে তার বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় কোন মামলা নেয় বলে জানিয়েছেন পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন।
তিনি বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত মুন্টু মাস্টারকে ধরে পিটিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে তার আগেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে কারা তাকে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়েছে খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে মুন্টু মাস্টারের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সকাল ৭টার দিকে বিড়ালদহ বাজারে গিয়েছিলেন মুন্টু মাস্টার। কাজ শেষে ৮টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মাজারের সামনে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী তাকে ধরে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ফেলে। এরপর লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার হাত ও পা থেতলে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ওই অবস্থায় রেখে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে জানতে দুপুর ১টার দিকে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। আপনারাও খোঁজ খবর নেন কারা এ ঘটনা ঘটাল।’