পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। সে রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেইসাথে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয় রিটে।
রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
রিট পিটিশনার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় পত্রিকায় বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সে প্রতিবেদন প্রকাশের পরও দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে কাজ শুরু করেছে দুদক।
সূত্র : বাসস