বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

সাজামুক্ত হলেও তারেক রহমানের সামনে আরও দুই বাধা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

গত ১৭ বছরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতি, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে ৮০টির বেশি। পাঁচটি মামলায় যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে ছয় ধরনের সাজা হয়েছে তার। প্রতিটি মামলায় তাকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট আদালত। এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীরা।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তত ৪৫টি মামলায় খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছেন তারেক রহমান। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডএবং একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে ২০ বছর কারাদন্ড দিয়েছিল ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট অন্য আসামিদের সঙ্গে অভিযোগ ও সাজা থেকে তারেক রহমানকেও খালাস দেয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদ- দিয়েছিল ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত। হাইকোর্টেও এ সাজা বহাল থাকে। গতকাল আপিল বিভাগ এ মামলায় অধস্তন আদালত ও হাইকোর্টের সাজা বাতিল করেছে। ফলে এ মামলার অভিযোগ থেকে তিনি খালাস পেলেন।

এছাড়া ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মানহানির একটি মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের একটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদন্ড দেয়। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত মামলাটি খারিজ করে দিলে খালাস পান তিনি।

তবে এখনও আরও দুই বাঁধা আছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সামনে।

অর্থপাচারের একটি মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাসের রায় দেয়। দুদকের এ মামলায় তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয় সাত বছরের কারাদন্ড। অধস্তন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদন্ডদেয়।

গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর আপিল হলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়। এ মামলায় আপিলের ওপর শুনানি হবে।

এছাড়া ২০২৩  সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের একটি মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদন্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত। তারা হাইকোর্টে আপিল করলে মামলাটির নিষ্পত্তি হবে। তার আগে বিচারিক আদালতে এসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিকল্প আইনি চিন্তা হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা নিয়ে আলোচনা রয়েছে দলটির শীর্ষ আইনজীবীদের মধ্যে। কিছুদিন আগে দলের একজন শীর্ষ আইনজীবী দেশ রূপান্তরকে বলেছিলেন, ‘এ বিধানে সাজা স্থগিতের সুযোগ রয়েছে। এটি হলে পরে আপিল করে মামলার আইনি মোকাবিলা করা যাবে।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের প্রতি আস্থাশীল। তিনি মনে করেন, তার নামে যত মামলা আছে সেসব মিথ্যা ও বানোয়াট। দেশের সংবিধান ও প্রচলিত ফৌজদারি আইন পর্যালোচনা করে আপিল ও আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com