দিনটাই যেন সাকিব আল হাসানের। কত দিন পর দেখা মিললো এমন সাকিবের। ব্যাটে-বলে সমতালে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন স্বরূপে। ফিল্ডিংয়েই বা কম কিসে? সমালোচনার জবাবটা সাকিব এভাবেই দিয়ে যান বারে বারে। যেই যাই বলুক, তার উত্তর হবে মাঠে। এমন উত্তপ্ত, উজ্জীবিত, উচ্ছ্বসিত সাকিবেরই তো প্রয়োজন ছিল বিশ্বকাপের আগে।
যা হোক, অবশেষে রানের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ফলে এবারের সিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে এসে খুললো তার রানের দুয়ার। প্রথম দু’ম্যাচেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। তবে আজ ত্রিনিবাগোর বিপক্ষে খেলেন ৩৫ রানের এক ঝলমলে ইনিংস।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামে গায়ানা। ব্যর্থ সাকিবেই ভরসা রেখেছিল তারা। এবার আর নিরাশ করেননি সাকিব। দলীয় অষ্টম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পরে মাঠে আসেন সাকিব। রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে গড়েন ৬০ রানের জুটি। আর দলীয় ১৬ ওভারে নারিনের ফাঁদে পড়ে যখন ফিরে আসেন তখন নামের পাশে চারটি চার আর এক ছক্কায় ২৫ বলে ৩৫ রান।
বোলিংয়েও সফল এই অলরাউন্ডার। প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান। টিম সেইফার্টকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ দেখান। সাজঘরে ফেরান ভয়ংকর হতে থাকা আন্দ্রে রাসেলকেও। আর নিজের শেষ ওভারে শিকার করলেন বন্ধু সুনিল নারিনকেও। আরো একটা উইকেট পেতে পারতেন, কলিন মুনরোকে ফেরানোর কারিগর তিনিই হতেন। তবে বল হাত ফসকানোয় আর তা হয়নি। ফলে চার ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো সাকিবকে।
শুধুই কি ব্যাট-বল, ফিল্ডিংয়েও সাকিব সমান উজ্জ্বল। নিকোলাস পুরানকে সরাসরি হিট করে যেই রান আউটটা করলেন সাকিব, তা অনেক দিন চোখে ভাসবে। চোখে ভাসবে তর্জনী উঁচু করে উচ্ছ্বসিত সাকিবের দৌড়ানো উদযাপনটাও। এত সব কীর্তির পুরস্কারও জুটেছে কপালে, ম্যাচ সেরার পুরস্কার গিয়েছে তার ঝুলিতে। এদিকে টানা হারতে থাকা দলটাই কিনা টানা তিন জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে ফেলেছে।