একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
অপর আসামির সাত বছরের দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। আরেক আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখা হলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি শুনানি করেন। সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়।
পাঁচ আসামির ফাঁসি বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, শুধু আসামি পক্ষই যে ন্যায় বিচার পাবে তা নয়, ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদেরও ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরার নিজ বাসা থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপর আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন। পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরাও আপিল করেন।
সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
সূত্র : বাসস