ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসালামী আন্দোলন বাংলাদেশ
রাজধানীর পুরানা পল্টনে আজ রোববার (১৮ জুন) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, ‘সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ২০১৮ সালে রাতের বেলায় কারচুপির ভোটে ক্ষমতায় এসে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’
‘দেশে একদলীয় স্বৈরশাসন চলছে’ মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘এই সরকারের পতন ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠায় যারা বর্তমানে আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বরিশালে দলীয় হাতপাখার পার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদ এবং সরকারকে পদত্যাগ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় জাতীয় সরকারের অধীনে আয়োজনের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইসালামী আন্দোলন।
‘আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে’ উল্লেখ করে মুফতি রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘বরিশালে আমাদের দলের প্রার্থীর ওপর আওয়ামী লীগ কাপুরুষিত হামলা চালিয়েছে।’
রেজাউল করিম বলেন, ‘নিয়ম রক্ষার কথা বলে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে একতরফা, ভোটারবিহীন ও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৮ সালেও রাতের বেলায় কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে জবরদখলের মতো দখল করে বসেছে। আগামী নির্বাচনও একইভাবে করতে চাইছে। জনগণ এটা করতে দেবে না। প্রশাসনের কাঁধে ভর করে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসালামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে আমরা আর কোনো নির্বাচনে যাব না। কারণ তারা দেশে একদলীয় স্বৈরতান্ত্রিক বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।’