মানুষকে সংখ্যালঘু বলা যাবেনা জন্মগতভাবে সকলেই বাংলাদেশী। তবে সংখ্যালঘু তখনই হয় যখন তাহাঁদের মধ্যে ৯০% মানুষ একটি দলের পক্ষ নেন দলটি যখন ক্ষমতায় থাকেন আর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় সেই সরকারের অঙ্গ সংগঠন যখন এই সংখ্যালঘুদের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার, নারী নির্যাতন, ধন-সম্পদ ঘর-বাড়ি লুট দখল করে তখন এই সংখ্যালঘুরা প্রতিবাদ করে না, প্রতিবাদ করে লেখা-লেখী করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা এমনকি সরকারের মন্ত্রী সংসদ সদস্যরাও পাত্তা দেই না । কারণ ওই সকলের নষ্ট কর্মের অংশীদারের ভাগ বাটোয়ারা মন্ত্রী এমপি সাহেবেরা পেয়ে থাকেন, এই অপ্রিয় সত্য কথা সকলেই জানের খবরের কাগজে আসে – আসে মিডিয়ায় । তাই সাধু সাবধান হউন । জীবনের খুব ছোট্ট বেলা থেকেই আমি সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তানদের সাথে থেকে বড় হয়েছি বন্ধুত্ব করে মানুষ হিসেবে মানবতায়। কারণ তাঁদের মূল পরিচয় মানুষ তাহাঁরা সংখ্যালঘু নন । মানুষকে সংখ্যা দিয়ে গণনা করে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু হিসেবে বিভাজন করাটা সমীচীন না হলেও এটা বিশ্বব্যাপীই হয়ে আসছে এবং আমিও প্রবাসে সংখ্যালঘু এবং আমার মতো অনেক ধর্মের মানুষ । তাই মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করুন মানবিক কারণে এঁদের প্রতি আন্তরিক হবেন – ভালোবাসা দিবেন এঁকে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবর্তিত হবেন নবপ্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নতুন বাংলাদেশে সূচনায় বিজয়ী সম্মানে । কোন প্রকার এই নান্দনিক অবস্থায় বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সমাজ কোনভাবে দুষ্ট চক্র নস্যাৎ না করতে পারে তাঁদের অন্যায় অবিচার মূলক কর্মকাণ্ডে এ ব্যপারে রাষ্ট্রের সকল পেশার মানুষ ও জনগণ মনযোগী হবেন, ”মানুষ মানুষের জন্য” এ প্রত্যাশায় আহবানে।
লায়ন দিদার সরদার
প্রকাশক ও সম্পাদক,
সময়ের কণ্ঠধ্বনি