শুক্রবার, ১১:০২ পূর্বাহ্ন, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত বরিশালে জনজীবন

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

বছরের শুরুতেই বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও দিনমুজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা কমে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও আবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের।

বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি , যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এটাই বরিশালের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা পড়েছিল। কুয়াশা কেটে যাওয়ায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এরপরও সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন বরিশালবাসী, বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা ১ হাজার হলেও শনিবারেও দেড় সহশ্রাধিক রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। কোন কোন দিন রোগীর সংখ্যা ১৮শ অতিক্রম করে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। এরমধ্যে মেডিসিন বিভাগের ৪টি ইউনিটেই পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৮শ থেকে ১ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শীত নিবারণে অনেকেই কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের শীতের গরম পোশাক। শনিবার রাতে নগরীর সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের সামনে দেখা যায় ক্রেতাদের শীতের গরম পোশাক কেনার ভিড়। সৌরভ নামে একজন ক্রেতা বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। বর্তমানে সংসার চালাচেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের এক মাত্র ভরসা।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ কারণে বরিশালের আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে এবং আগামী দুই-তিন দিন ধরে এই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ জন্য কোথাও কোথাও সূর্য উঠতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দিন এবং রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে বরিশাল অঞ্চলে শীতের অনুভূতিটা একটু বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। তার মধ্যে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জন্য বরিশালের উপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী দুই-তিন দিন পর্যন্ত এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com