বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর স্বজনকে থাপ্পর দিয়ে কান ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে আয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত বিএম কলেজের ওই ছাত্রীকেও শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কৈখালীর নাহিদ সুলতানা গত কয়েকদিন ধরে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালের গাইনি বিভাগে অবস্থান করছিলেন।
২৮ জুন শুক্রবার দুপুর ১টা সুলতানা তার মায়ের মাথায় পানি দেয়ার সময় সামান্য পানি ফ্লোরে পড়ে যায়। পরে সুলতানা ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে তা পরিষ্কার করেন।
বিষয়টি গাইনি বিভাগের আয়া হ্যাপি দেখে সুলতানার সাথে দূর্রব্যবহার শুরু করেন। সুলতানা এর প্রতিবাদ জানালে হ্যাপি তাকে ওয়াসরুমে আটকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আয়া হ্যাপির থাপ্পড়ে কান ফেটে যায় সুলতানার।
নাহিদ সুলতানা বলেন, আমার মায়ের মাথায় পানি দেয়ার সময় সামান্য পানি ফ্লোরে পরে তাই আমি আয়াদের কাউকে না দেখতে পেয়ে ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে নিজেই ফ্লোর পরিস্কার করে আবার সেটি রেখে আসি।
তখন আয়া হ্যাপি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি আমাকে ওয়াসরুমে আটকে চর-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। আমি বর্তমানে দুই কানে শুনতে পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, মূলত আয়াকে দিয়ে কাজটি করালে তাকে ৫০টাকা দিতে হতো, তাকে না জিজ্ঞেস করে আমি নিজেই পরিষ্কার করায় আমাকে মারধর করেছে।
এ ঘটনার পরে আহত সুলতানাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পরে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আয়া হ্যাপিকে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আরিছুল হক বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।