ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটিতে বসে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করছেন। তার এসব উষ্কানিমূলক বক্তব্য তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি শেখ হাসিনার সব ধরনের ঘৃণাসূচক বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানান।
তিনি আরও জানান, এর আগে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ও গণআন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি জানান, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা বিদেশে বসে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিচ্ছেন। সেসব বক্তব্যের মাধ্যমে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হেট স্পিচ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে অপরাধ। সেগুলো বন্ধে এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে আছে সেসব হেট স্পিচ সরাতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিচার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে জিয়াউল আহসানের করা আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।