বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার খবরে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণবঙ্গের নৌকার প্রার্থীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের দ্বারা দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেকেই নৌকার সমর্থনে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তাই নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে গুরুত্বসহকারে দেখছেন তারা।
সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তিনি সরাসরি দেশের বিভিন্ন জেলা সফর করবেন এবং ভার্চ্যুয়ালি বিভিন্ন জেলায় সংযুক্ত হয়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফর করে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শেখ হাসিনার এ আগমনকে ঘিরে বরিশাল বিভাগজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। সেইসঙ্গে দলের মনোনীত নৌকার প্রার্থীরাও আনন্দে ভাসছেন। প্রার্থীরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার আগমন এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের প্রতীকের পক্ষে গণ জোয়ারের সৃষ্টি করবে এবং নৌকার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তাই প্রধান মন্ত্রীর এ আগমনকে ঐতিহাসিক করতে বিপুল জনসমাগমের পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর বরিশালে আওয়ামী লীগ বিভাগীয় সকল নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি বর্ধিত সভাও করেছে। সেখানে নৌকার প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাস তাদের বিজয়ের স্বপ্ন পুরণে অনেকদুর নিয়ে গেছে। উপস্থিত প্রার্থীরা আশা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে হয়তোবা দলের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
বরিশাল-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক বলেন, নেত্রী আসছেন, এটিই আমাদের জন্য খুশির সংবাদ। নেত্রীর একটি ভিশন নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করা। তবে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মঞ্চে নাও ওঠাতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, নেত্রীর আগমনে নৌকার পক্ষে সবাই উদ্বুদ্ধ হবেন। নৌকার প্রধান মাঝি তিনি। নেত্রী নৌকার বাইরে কিছু বলবেন না। তিনি নৌকার কথাই বলবেন, স্বতন্ত্রের কথা বলবেন না। আর এতে নৌকার লোক ও ভোটাররা আরও উদ্বুদ্ধ হবেন এবং স্পিডে চলবেন। ফলে বাকি সবাই এমনিতেই পিছিয়ে যাবেন।
বরিশাল-২ আসনে মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন বলেন, যদিও বিভিন্ন জায়গায় নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রের পক্ষে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী আসলে সেই অবস্থার অবসান ঘটবে বলে মনে করেন তিনি। কারণ নৌকা মানেই আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ মানেই নৌকা। এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা। যারা বিরোধিতা করছেন, নৈতিকভাবে আগেই তারা পরাজিত। তার আসনে জেলার সভাপতি-সম্পাদকসহ উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন এবং তারা নৌকার পক্ষে নির্বাচনী কাজ পরিচালনা করছেন। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েও তার পাশেই রয়েছেন। অসুস্থ থেকেও তিনি বিভিন্ন সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরে বাকি যারা দুরে আছেন তারাও নৌকার পক্ষে কাজ করবেল বলে আশা করেন তিনি।
জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বরিশাল সদর আসনের নৌকার প্রার্থী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বরিশালে আসছেন নির্বাচনী প্রচারণায়। এতে অবশ্যই নৌকার পক্ষে ঢেউ উঠবে। যারা এখনও নৌকার বাহিরে আছেন তারা অবশ্যই নৌকায় উঠবেন।