শীতে নানা উৎসবে খাওয়া-দাওয়া লেগেই থাকে। এ কারণে গ্যাস, বদহজমের সমস্যাও বাড়ে। আবার বেশিক্ষণ গরম পোশাক পরে থাকায় পেট গরমের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। অনেকেই এ সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট, কোমরে ব্যথা শুরু হয়, ব্যথা হয় মলদ্বারেও। পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। সারা বছর যারা সুস্থ থাকেন, তাদেরও শীতকালে এক বার হলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সুস্থ থাকতে এই শীতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সবারই সচেতন থাকা জরুরি। শীতকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কী করবেন-
ভুসি: ভুসিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে এবং ওজনও কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ২ থেকে ৩ চা চামচ ভুসি, কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া প্রতিকার।
ত্রিফলা: ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তার পরে সেটি খেয়ে ফেলুন। এতে সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কালো কিশমিশ : কালো কিশমিশে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই উপাদান অন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে চার থেকে পাঁচটি ভেজানো কালো কিশমিশ খান। পরদিন সকালেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভালো ফল পাবেন।
জোয়ান : কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে জোয়ান খেতে পারেন। জোয়ান শরীরে গ্যাস্ট্রিক জুস উৎপাদনকে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটায়। আধা চা চামচ জোয়ান গরম পানিতে ভিজিয়ে পান করুন।
ক্যাস্টর অয়েল: ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে রিসিনোলিক অ্যাসিড, যা শরীর থেকে বর্জ্য নির্মূল করতে সহায়তা করে। ঘুমানোর আগে এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে কার্যকরী হতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থায় এটি না খাওয়াই ভালো।
নারকেল তেল : গবেষণা অনুসারে, নারকেল তেলে থাকা মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড মল নরম করতে সাহায্য করে। এ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ নারকেল তেল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।