ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে কার্পেটের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। তবে সুদৃশ্য কার্পেট যেমন আপনার ঘরে আভিজাত্যের ছোঁয়া এনে দেয়, তেমনই শীতের দিনে কার্পেট ছাড়া আমাদের চলে না। জেনে নিন কার্পেট ভালো রাখার নানা পদ্ধতি।
একরঙা কার্পেট সহজেই ময়লা হয়ে যায়। নকশাদার বা ডাবল বিনুনির কার্পেট সহজে ময়লা হয় না। তাই বাচ্চার ঘরে রঙিন নকশাদার কার্পেট রাখুন। দেখতেও ভালো লাগবে। শিশুর ঘরের জন্য সুতি বা জুটের কার্পেট আদর্শ। কারণ এগুলো প্রয়োজনে সহজেই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। পিওর উল, সিল্কের কাশ্মিরী বা পার্শিয়ান কার্পেট বেছে নিন আপনার বসার ঘরের জন্য। কার্পেটের কোনো কোনো জায়গায় চাপ বেশি পড়ে। যেমন আসবাবের পায়া, সোফা সেট বা সেন্টার টেবলের সামনে ইত্যাদি। দীর্ঘদিন ধরে চাপ পড়লে কার্পেটের ওই জায়গা পাতলা হয়ে রঙ চটে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে আলাদা রাগ বা কার্পেট পেতে দিন কার্পেটের ওপর। এতে কার্পেট অনেক দিন ভালো থাকবে। কার্পেটের ধুলা সাফ করতে বছরে অন্তত দুই থেকে তিনবার কার্পেট পিটিয়ে ঝাড়া দরকার। বড় বারান্দা, ছাদ বা প্রশস্ত লনে কার্পেটটি উল্টো করে পেতে মোটা লাঠি বা কার্পেট ব্রাশের লম্বা হাতল দিয়ে পেটান। ঝাড়া হয়ে গেলে কার্পেটের চারটি কোণ ধরে তুলে আনুন বা উল্টো দিকে রোল করে নিন। তাহলে ধুলাটা বাইরেই পড়ে থাকবে। তবে শখের দামি কার্পেটের ক্ষেত্রে প্রফেশনালের সাহায্য নেওয়াই ভালো। কার্পেট সাফ করার আর একটি সহজ উপায় আছে। গোটা কার্পেটে প্রচুর পরিমাণে মোটা দানার লবণ ছড়িয়ে দিন। তারপর শক্ত দাঁড়ার স্টিফ ব্রাশ দিয়ে জোরে জোরে ঘষে সাফ করুন। কার্পেটের জমাট বুনন যেদিকে, সেই দিকেই ডাস্টার বা ব্রাশ চালাবেন। উলের কার্পেট থেকে নতুন অবস্থায় বেশ কিছু রোঁয়া বেরুতে থাকে। এই কার্পেট খুব জোরে ঘষে পরিষ্কার করা উচিত নয়। ব্রাশের বদলে ভ্যাকুয়াম বা হালকা ঝাড়ন দিয়ে পরিষ্কার করুন।