অগ্রহায়ণের শেষ সপ্তাহেই শীত জেঁকে বসেছে হিমালয়কন্যা খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রা কমে নেমেছে ১০ ডিগ্রির ঘরে। রাতভর কনকনে শীতে নাজেহাল উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।আজ সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ভোরেই দেখা মেলেছে সূর্য। কিরণ ছড়িয়ে আলো ছড়ালেও হিমেল হাওয়ার পরশে কনকনে শীতে কাপছে উত্তরের এ জেলার মানুষ। কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
ভ্যান চালক মহির উদ্দিন ও সায়েদ আলী জানান, প্রচন্ড ঠাণ্ডার কারণে ভ্যান চালাতে গিয়ে হাতপা মনে হয় অবশ হয়ে যায়। ঠাণ্ডার কারণে ভ্যানেও চড়তে চান না অনেকে। কিন্তু কি করবো ভাই, পরিবারের তো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হয়। তিনবেলা খেতে হয়। এখন শীত, কামাই কমে যাচ্ছে।
দিনমজুর রাজ্জাক জানায়, ঠাণ্ডা লাগলেও করার কিছু নাই। কাজে বেরিয়েছি। দিনশেষে কাজ করে বাজার সওদা করতে হবে।
ঘরের গৃহিনীরা জানান, ঠাণ্ডার কারণে ভোর সকালে উঠে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। কিন্তু কি করবো, ছেলে-মেয়েদের সকালের নাস্তা তৈরি করতে হয়। রাতভর প্রচন্ড ঠাণ্ডা। ঘরের আসবাবপত্র বরফ হয়ে উঠে।
শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি,কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম প্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, আবার তাপমাত্রা কমে ১০ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।