*দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম প্রবীণ নাট্যজন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বাংলাদেশের মঞ্চ ও টেলিভিশনের একজন নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা। দীর্ঘদিন যুক্ত আছেন নাট্যাঙ্গানে।
অভিনয়, নির্দেশনায় নিজের মেধা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন অনেক আগেই। তবে অভিনয় ও নির্দেশনার পাশাপাশি তিনি একাধিক নাটক রচনা করে, নাট্যকার হিসেবেও যথেষ্ঠ সুনাম অর্জন করেছেন। বলাই বাহুল্য যে তার প্রতিষ্ঠিত নাট্যদল সুষম নাট্য সম্প্রদায় প্রযোজিত সব নাটকই তাঁর নিজের লেখা। বিশেষ করে ৯০ দশকের লেখা বহুল মঞ্চয়িত দর্শকপ্রিয় ‘শহরে নতুন’ ‘গুণধর’ এবং ‘আহলাদীর জন্মোৎসব’ তিনটি নাটক নিয়ে ‘নাট্যত্রয়ী’ শিরোনামে গ্রন্থটি এবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা প্রকাশ হয়েছে।
গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে নবযুগ প্রকাশনী। প্রকাশক অশোক রায় নন্দী। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের লেখা প্রায় সব নাটকই সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বীয় মর্যাদা এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
নীতি নৈতিকতার অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হয়ে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান তাঁর প্রতিটি নাটকের মূল বিষয়বস্তু।
‘নাট্যত্রয়ী’ গ্রন্থের ‘শহরে নতুন’, ‘আহ্লাদীর জন্ম উৎসব’ ও ‘গুণধর’ নাটক তিনটি ছাড়াও মঞ্চের জন্য তিনি আরও যেসব নাটক লিখেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ইতিহাস কথা বলে’, ‘প্ল্যাটফর্ম’, ‘চৌর্যবৃত্তির কর্মশালা’, ‘শেষ কথা’, ‘কে ময়নার খুনি’? মৃগতৃষ্ণা’, ‘গয়না’, ‘নিখোঁজ মহাজনের সন্ধানে’, ‘সাধু সমাবেশ’, ‘হৃদয় খোঁড়া অনুভব-৭১’, ‘ভন্ড পীরের খন্ড চিত্র’ এবং ‘ইতিহাসের কলঙ্ক’।
তিনি নিজের লেখা প্রায় সব নাটকেই অভিনয় করেন এবং নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। ‘নাট্যত্রয়ী’ গ্রন্থের তিনটি নাটক পাঠ করে পাঠকের যদি সামান্য ভালো লাগে এবং কোন দলের প্রয়োজনার ক্ষেত্রে সহায়ক হয় তবে লেখকের মেধা ও শ্রম স্বার্থক হবে বলে তিনি মনে করেন।