এফডিসিতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। এফডিসিতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শিল্পীরা। সিনেমাপাড়ায় বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। নির্বাচনের সর্বশেষ খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে এফডিসি ব্যানারে ভরে গেছে। দুটি প্যানেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দুই পক্ষ অসংখ্য ব্যানার টাঙিয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করে যেদিকে চোখ চায়- শুধু ব্যানার আর ব্যানার। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ব্যানার যেমন শোভা পাচ্ছে একইভাবে মিশা-জায়েদ প্যানেলের ব্যানারও শোভা পাচ্ছে।
সারাবছর অনেক তারকাকে এফডিসিতে দেখা না গেলেও এখন তারা নিয়মিত আসছেন। কেউ কেউ আছেন শুধু ভোট দিতে দুই বছরে একবার আসেন! কিন্তু এখনকার চিত্র ভিন্ন। প্রতিদিন বিকেল হতেই জনপ্রিয় তারকাদের পাশাপাশি সমিতির অন্য সদস্যরাও আসছেন। নিজেরা কুশল বিনিময় করছেন, ভোট চাইছেন। কেউ আবার দোয়া চাইছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন এফডিসির ভেতরে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি গান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পক্ষ থেকে গানটি করা হয়েছে। প্রতিদিন এফডিসির ভেতরে গানটি বাজানোর সময় নৃত্য করতে দেখা যায় অনেককে। গানটি হচ্ছে- ‘নোট
দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’। এ বিষয়ে সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগর বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাধে। কীভাবে এই গানটি করতে পারল? সিনিয়র অভিনেত্রী আনোয়ারা মিশা-জায়েদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে এই গানটি নিয়ে দুঃখের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এরকম গান হতে পারে না।’
এফডিসির ভেতরে ছোট্ট পার্কর মতো জায়গা আছে। সেখানে বিকেল থেকে শুরু হয় শিল্পীদের আড্ডা। ২ প্যানেলই আড্ডায় যোগ দিচ্ছেন। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সামনে ও প্রযোজক সমিতির সামনেও আড্ডা বসছে প্রতিদিন। এ ছাড়া, ক্যান্টিনের ভেতরে ও সামনে আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠছে এফডিসি প্রাঙ্গণ। এই আড্ডা চলে রাত পর্যন্ত।
দুই প্যানেলই এবারের নির্বাচনে নানারকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করার জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসছেন সাধারণ ভোটাররা। মিশা-জায়েদের প্যানেল থেকে বলা হচ্ছে, বিজয়ী হলে ভূমিহীন শিল্পীদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিল্পীদের কল্যাণে যা যা করার সব করা হবে।
শিল্পী সমিতির মোট ভোটার ৪২৮ জন। এ ছাড়া, ভোট দেওয়া থেকে বাদ পড়েছেন ১৮৪ জন।