মাত্র ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে রংপুর, শঙ্কা অলআউট হওয়ার। তখনই জ্বলে উঠলেন শামিম পাটোয়ারী, দলের প্রয়োজনে হয়ে উঠলেন বিধ্বংসী। মাত্র ২০ বলে তুলে নিলেন আসরের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। যা প্রাণ ফেরায় ম্যাচের। রংপুর পায় ১৪৯ রানের পুঁজি।
মিরপুরে বরাবরই জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে টস। ফলে টস জয় যেন অনেকটা ম্যাচ জয়ের পথেই এগিয়ে যাওয়া।
বুধবার সাকিবদের আক্ষেপে ভাসিয়ে হাসেন তামিম ইকবাল। টসে জিতে তামিমে দল ফরচুন বরিশাল। প্রত্যাশিতভাবেই জানায় ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
মাঠে নামার আগেই টসে হেরে পিছিয়ে পড়ে রংপুর, আর মাঠে নামার পর শুরুতেই তাদের থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সাইফুদ্দীন। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুরকে দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই পেসার। জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি।
প্রথম বলেই শেখ মেহেদীকে মুশফিকের ক্যাচ বানান সাইফ, ৫ বলে ২ করেন তিনি। শেষ বলে সাকিবও অনুসরণ করেন একই পথ। উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দেন ৪ বলে ১ করে। রংপুর শিবির যেন চুপসে যায় এক নিমিষে। ১০ রানে ২ উইকেট হারায় তারা।
রনি তালুকদারকে ফেরান মায়ার্স। পঞ্চম ওভারে ১২ বলে ৮ রানে ফেরেন রনি। দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন জিমি নিশাম। নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ধরার চেষ্টা করেন হাল। তবে পেরে উঠেননি। মিরাজের বলে পুরান ফিরলে ভাঙে ৩০ রানের জুটি। ১২ বলে ৩ করেন এই ক্যারিবীয়।
এরপর শুরু হয় জেমস ফুলারের আঘাত। ৯.১ ওভারে দারুণ ছন্দে থাকা জিমি নিশামকে ফেরান তিনি। তার ব্যাটে আসে ২২ বলে ২৮ রান। আর ১৫তম ওভারে জোড়া আঘাত আনেন তিনি, এবার নাবিকে ১২ ও নুরুল হাসান সোহানকে ফেরান ১৪ রানে। তাতে ভেঙে যায় রংপুরের ইনিংসের মেরুদণ্ড, ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারায় তারা।
সেখান থেকেই শুরু হয় শামিম ঝড়। ওবেদ ম্যাকয়ের এক ওভারেই নেন ৩ ছক্কায় ২৬ রান! ২০ বলে পূরণ করেন ফিফটি। যা ছুঁয়েছেন সতীর্থ সাকিবের সাথে যৌথভাবে আসরের সবচেয়ে কম বলে। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আবু হায়দার রনির সাথে যোগ করেন ৩৩ বলে ৭২ রান।
রনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১২ রানে। ৭ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে থামে রংপুর। সাকিব-নাবিরা নিয়ন্ত্রিত বল করতে পারলে যা বেশ ভালো চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ হতে পারে। বরিশালের হয়ে সাইফুদ্দিন ২ ও ফুলার নেন ৩ উইকেট।