ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়াতে বাস করছেন। অভিনয়ের সঙ্গেও তেমন যুক্ত নেই তিনি। তবে হুট করেই গত বছর দেশে ফিরে তিনটি সিনেমায় কাজের ঘোষণা দেন এই নায়িকা। এরপরই আবারও ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ায়। যদিও সিনেমার পর্দায় দেখা না মিললেও স্যোশাল মিডিয়ার বদৌলতে বেশ ভালই দেখা মেলে শাবনূরের।
সম্প্রতি ফেসবুকে নিজের নতুন রূপে ভক্তদের সামনে হাজির হলেন শাবনূর। প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকটি ছবি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘নতুন বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করে হাসিমুখে সামনে এগিয়ে যাওয়া।’
ছবিগুলোতে খানিকটা খোলামেলা অবতারেই দেখা মিলেছে নায়িকার। এদিকে প্রিয় নায়িকাকে এমন খোলামেলা ভাবে দেখে খুশি হয়নি তার ভক্তরা।
মুহিবুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘তুমি মনে হয় ভুলে গেছো যে তুমি বাংলার রাণী। কীসব ড্রেস পরো, যা একদম বেমানান লাগে। তোমাকে চাই, প্রেমের তাজমহল, নারীর মন…এসব ছবিতে যে ড্রেসগুলো পরতে সেরকম ড্রেস পরবা। মাঝে মাঝে শাড়ি পরবে, সৌখিনভাবে ক্যামেরার সামনে আসবে। এভাবে আর না।’
সানজিদা ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘আমি শাবনুর ম্যামের বড় ভক্ত। আজ আমি হতাশ, তার এমন ছবি দেখার পর। যে কখনো কোন অশ্লীল পোশাক পরেনি তার ক্যারিয়ারে। তার ভক্তরা আজও তাকে নিয়ে গর্ব করে। দয়াকরে আপনি এমন পোশাক পরবেন না, আপনার ভক্তদের আর কষ্ট দিয়েন না।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘এটা আমাদের শাবনূর না।’ কারো মন্তব্য, ‘আপনার কাছে অনুরোধ, ছবি তোলার পর দেখে ফেসবুকে আপলোড দিয়েন।’
গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরতে উপস্থিত ছিলেন শাবনূর। ওই অনুষ্ঠানে ‘এখনো ভালবাসি’ নামের আরও একটি সিনেমার অভিনয়ের ঘোষণা দেন তিনি। তবে সিনেমার শুটিং শুরু না করেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান এই নায়িকা। সেসময় জানা যায়, পুরোপুরি ফিট হয়েই শুটিংয়ে নামবেন তিনি।
১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে নায়িকার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর সঙ্গে গড়ে ওঠে জনপ্রিয় এক জুটি, যা এখনো দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেয়।
দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিনয়জীবনে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। এর মধ্যে আছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ–শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ও ‘মোল্লাবাড়ীর বউ’।