বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্ত সাপেক্ষে স্বপদে বহাল থাকছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর ড. আব্দুল কাইয়ুম। তবে দপ্তরগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তনসহ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। সেশনজট নিরসনে ফলাফল প্রকাশে ৪৫ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়ার দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে উন্মুক্ত সভায় এ সব দাবি তোলা হয়। সভায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ২১টি দফা নির্ধারণ করা হয়।
জানতে চাইলে রাকিব আহম্মেদ বলেন, সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত একটা উন্মুক্ত সভা করেছি। সকলের দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে আমরা ২১টি দফা নির্ধারণ করেছি। এই দফাগুলো সরাসরি ভিসি স্যারের কাছে জমা দেব। দ্রুত আমরা বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বসবো।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমরা এ মুহূর্তে শর্ত সাপেক্ষে ভিসি ও প্রক্টরকে তাদের পদে রাখছি। প্রক্টরের ক্ষেত্রে শর্তগুলো হলো বিচারগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে এতদিনে হয়নি, সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর ভিসির ক্ষেত্রে শর্তগুলো হলো তিনি উপাচার্য থাকাকালীন কোনো রাজনৈতিক দলের পদে থাকতে পারবেন না এবং যে পদে আছেন তা থেকে পদত্যাগ নিতে হবে।