জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল মালিকপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার দুপুরে বৈঠকে বসেছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তবে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সচিবালয়ে ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে নৌযানের যাত্রী ভাড়া সমন্বয়ের লক্ষ্যে সভা’ শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মালিকপক্ষ যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটিকে আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। এজন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটি আজকের মধ্যে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে। সে অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানো হবে।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর গত বছরের নভেম্বরেই লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছিল। নভেম্বরের আগে লঞ্চে ১০০ কিলোমিটার মধ্যে দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। তখন তা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছিল।
১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া নভেম্বরের আগে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। তা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল দুই টাকা। আর লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল নভেম্বরে।
গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টার পর নতুন এই মূল্য কার্যকর হয়।