ঢাকা প্রতিবেদক:
রোজার মধ্যেই ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব পাঠ্য বইয়ের সংশোধনী স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড। এসব পাঠ্য বইয়ের সংশোধনী ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাণ্ডুলিপি তৈরির কাজও। যা শেষ হবে জুনে।
বছরের শুরুতেই ধরা পড়ে বইয়ের ভুল। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে দেয়া হয় নতুন শিক্ষাক্রমের বই। বলা হয় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ আর ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান- এই তিন বই সংশোধন হবে।
তবে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড জানিয়েছে- তিনটি নয়, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে তৈরি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়েরই ভুল ও অসংগতির সংশোধনী দিচ্ছেন তারা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, পরবর্তী বছরে যে বইগুলো ছাপা হবে, তার পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করার আগেই সংশোধনীর কাজগুলো করি আমরা। মূলত বানান ভুলগুলো।
এরমধ্যে বইয়ের ভুল নিয়ে গঠিত শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ভাষাগত ভুল ঠিক করার পাশাপাশি বয়স অনুযায়ী পাঠ্যক্রম তৈরির পরামর্শও দিয়েছে কমিটি।পাঠ্যবই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য সচিব ড. মোনালিসা খান বলেন, আনন্দদায়ক ও সুখপাঠ্য করতে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। যে, সংশোধনীর সময় যেন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা হয়।
এনসিটিবি বলছে, প্রত্যাহার করা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ্য বই ২০২৪ সালে আর থাকছে না। আগামীতে শিক্ষার্থীরা কেবল অনুশীলন পাঠ্য বইটি পাবে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এই বই দুটোর যে যে অংশ নিয়ে আপত্তি আছে, সেগুলো সংশোধন করে মূল বইয়ের সাথে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই দুটো বই আর শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না।
আগামী ৮ এপ্রিল থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের আদলে অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই লেখার কাজও শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে।