রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন পাঁচ নিত্যপণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এসব পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায়। পণ্য পাঁচটি হলো- চিনি, ছোলা, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুর।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আসন্ন রমজানে পাঁচ পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্য আমদানিতে যথেষ্ট পরিমাণ ঋণপত্র খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এলসি না খুলতে পারার খবর এসেছে। আমরা মনে করছি- নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে এসব পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক আরও বলেন, রমজানের পণ্য আমদানিতে নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চাহিদামতো ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আশা করছি পণ্য সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে।
সাত মাসে রিজার্ভ থেকে ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি : সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানান, ডলারের সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাষী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরও সংকট কাটছে না। এ কারণে জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।