অবশেষে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন রেলের রানিং স্টাফরা। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে রেল চলাচল।
আজ ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজশাহী থেকে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রেল উপদেষ্টার বাসভবনে হয় বৈঠক। এ বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি মধ্যস্থতার জন্য উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধি হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিএনপির প্রতিনিধি শিমুল বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বন্ধ হওয়া সুবিধা পুনরায় চালুর দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যান রেলের রানিং স্টাফরা। এতে সারাদেশে রেল পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর চরম ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা।
দিনভর শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবির জেরে সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের দফায় দফায় বৈঠকের পরেও কোনো সমাধান আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভোগান্তির বিবেচনা করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিএনপির প্রতিনিধি শিমুল বিশ্বাসের মধ্যস্থতায় রেল উপদেষ্টার বাসায় আবারও শুরু হয় বৈঠক। এই বৈঠকে শ্রমিক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক চলাকালেই রাত আড়াইটার দিকে রেল উপদেষ্টা শ্রমিকদের কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ প্রসঙ্গে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সুবিধার বিষয়ে কথা হয়েছে। এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু সুবিধার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে। তবে এরপরও রেলওয়ের রানিং স্টাফদের আরও কিছু দাবি রয়েছে। বিশেষ করে মাইলেজের সুবিধা এক মাসের বেশি হতে পারবে না।’
এদিকে রেল উপদেষ্টার এমন আশ্বাসে রাত থেকেই রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতা মুজিবুর রহমান।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘যাত্রীদের এমন দুর্ভোগ আমরা চাই না। বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। স্টাফ ভাইদের বলব তারা যেন নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরে যান।’
এদিকে বুধবারের মধ্যে দাবি পূরণ করে রেলের রানিং স্টাফদের ভাতা ও পেনশন সুবিধার পুরোনো নিয়ম পুনর্বহালে সরকারি আদেশ জারি হবে বলে প্রত্যাশা করেন শ্রমিক নেতারা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার। শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমস্যার সমাধান করতে রেল উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি।’