রিমান্ডের প্রথম দিনেই বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগার প্রধান কারণ জানা গেছে। মামলার আসামিরা জানিয়েছেন, রেস্তোরাঁ মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠানের ভেতরে জায়গা বাড়াতে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বাইরে রেখেছিলেন। এক সিলিন্ডারে ধারণক্ষমতার বেশি চুলা ব্যবহার করছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। এই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে।
রবিবার রিমান্ডের প্রথম দিনে এমন তথ্য দিয়েছেন মামলার আসামিরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত কর্মকর্তারা আরও কিছু তথ্য পেয়েছেন, যেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকে কাকে, কীভাবে ম্যানেজ করে অবৈধ এ রেস্তোরাঁর ব্যবসা পরিচালনা করা হতো, সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমকে মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের অনেক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, কার কার অবহেলা ছিল, আগুন লাগার পর তারা কী করেছে, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে নিচতলার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আগুন লাগার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠান মালিকরা একটি সিলিন্ডার থেকে অনেকগুলো চুলা ব্যবহার করতেন। এই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর সিলিন্ডারগুলো নিরাপদে না রাখার বিষয়ে তারা বলছে, ভেতরে জায়গা বাড়ানোর জন্য সিলিন্ডারগুলো রাখা হয় বাইরে। ভবন ম্যানেজমেন্টও এসব বিষয়ে চুপচাপ ছিল।
রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিরা হলেন- চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল।